১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ঢাকা ডেনমার্কের সহায়তায় ঢাকা উওর সিটিতে ৩৬টি ওয়ার্ডে মিনি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে – স্হানীয় সরকার মন্ত্রী
১৫, ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:১০ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

ঢাকা অফিসঃ

ডেনমার্কের ঋণ সহায়তায় প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডে মিনি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দফতরে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন সাক্ষাৎ করতে এলে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ডেনমার্ক প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মিনি ফায়ার স্টেশন করে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। আমাদের অনেক রাস্তাঘাট সরু। কোনো সরু রাস্তায় যদি অগ্নিকাণ্ড ঘটে সেখানে ফায়ার স্টেশনের বড় গাড়ি যাওয়া সমস্যা হয়ে যায়। আর এতদূর থেকে যেতে হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে তো আমাদের ফায়ার স্টেশন নেই। আমরা এটার মূল্য-উপযোগিতা ও যাওয়া-আসার জন্য যে সকল বিষয় রয়েছে সেসব বিবেচনা করে তারা অফার করেছে, তাদের যে মিনি ফায়ার স্টেশন আছে সেগুলো যদি আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করতে পারি। সেখানে মোটরসাইকেলে করেও তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপণ করা সম্ভব। সে জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছি এবং উত্তর সিটি কপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে এটি করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে জন্য তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ডেনমার্ক আমাদের লোকদের ট্রেনিং দেবে বিনামূল্যে, তাদের টাকায়। কিন্তু এখানে যে মিনি ফায়ার স্টেশন হবে সেগুলোর ৮৫ শতাংশ অর্থ তারা ঋণ দেবে। ইতোমধ্যে আমাদের অফিসিয়াল ফরমালিটিজ কমপ্লিট হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব দ্রুততার সাথে করার জন্য। মিনি ফায়ার স্টেশন কত বছর মেয়াদি সেটি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা দ্রুততার সাথে করার চেষ্টা করব।

আবাসিক এলাকায় ফায়ার হাইড্র্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফায়ার হাইড্র্যান্ট তো আলাদা বিষয়। যখনই বাড়ি তৈরি করবে তখনই আলাদা কম্পোনেন্ট হিসেবে ফায়ার হাইড্র্যান্ট রাখার কথা। আগে এগুলো সিরিয়াসভাবে দেখা না হলেও এখন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে এ কম্পোনেন্টগুলো রাখার জন্য বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডেনমার্ক সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে ফাইন্যান্স করছে। আমাদের পদ্মা-যশোলদিয়া থেকে যে পানি উৎপাদন হয়, সে পানির ডিস্ট্রিবিউশনেও তারা অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তা প্রক্রিয়াধীন আছে। তারা বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জি ও ওয়েস্ট এনার্জি খাতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের এ আগ্রহকে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং স্পেসিফিক অফার দিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।